চোখের শিশিরে যে কথা জমা থাকে তার ভাষার প্রয়োজন ছিল না কোন কালে নৈশব্দের পাতায় লিখে রাখা যে আর্তি তাতেও নেই কোন কালির আঁচড়
বায়ান্ন বায়ান্ন বলে এত মাথা কোটা একুশ হাজার বার একুশের তোপধ্বণী অথচ অনুচ্চারে, উনসত্তর- একাত্তর এক হয়ে যায় আসাদের শার্টের রং মিশে যায় রফিকের উষ্ণ ধারায়
হিমালয় থেকে সাইবেরিয়া প্যারিস, আরব কিংবা গ্রীস উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ প্রত্নতাত্ত্বিক পাথর ঠোকানো সময়, বাকলে আবৃত গুহাবাসী জীবনেরও আগে থেকে; মায়া, অ্যাজটেক সিন্ধু বা ইনকা হয়ে আজকের পরমাণু সভ্যতা
সদ্যজাত শিশুর কান্নায় সেই একই ভাষার প্রতিরেখ
যে রোখ ছিল হেনরীর সবল পেশীতে যে প্রত্যয়- 'জোয়ান অব আর্ক' এর উন্মত্ততায় ক্ষুদিরাম, সুভাষ বোস, তীতুমীর, নজরুল দরাজ মুজিব আর উদাত্ত জিয়া একই তরঙ্গের উদ্ভাসিত বিস্ফোরণ
বিপ্লবে, বিদ্রোহে- ভাষা শুধুই প্রতিবাদের জ্বলন্ত ফেস্টুন
সুরের কম্পনে কোন নির্দিষ্ট ভাষা নেই হৃদয়ের অন্তঃটানে- ভাষা প্রয়োজনহীন গোলাপের সৌন্দর্যের একটাই ভাষা পৃথিবী নামের গ্রহ- আজ একুশের মাতৃভাষায় লীন
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন
আপনার এই কবিতাটি ভাইয়া একটু ব্যতিক্রম মনে হল। কবিতায় দেখলাম ইতিহাসের বেদনা আবার কিছু মহান মানুষের গর্জন। যদিও তারাও ইতিহাসের মধ্যেই পড়ে। আবার ভাষা নিয়ে কিছু অসাধারণ কথা ছিল। আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে ভাইয়া।
সূর্য
ভাবছিলাম কিছুটা প্রতিবাদ জানাই "মাথা কোটা"র, মনে পরে গেল এইতো সেদিনের বারোয়ারী ভাবনার আভিজাত্যের প্রতিক ভাষার সাধু রূপটাকে আমরাইতো নিজ হাতে গলাটিপে শেষ করে দিয়েছি। ফেব্রুয়ারি বলেই গলা ফাটাই, ৮ফাল্গুন এখন ক'জন ভাবে? ভাষার মাসে কোন লেখায়- কথায় অবচেতনে বিদেশি শব্দ এলেই ভাষা গেল রব তুলি........ সারা বছর চুপচাপ। আবার আমরাই কবিতায় টেনে আনি "ফটোকপি রোদ" হা হা হা এই দ্বিমুখীতা নিয়ে আর যাই হোক প্রতিবাদ ঠিক মানায় না। আর হ্যা আন্দোলনটাতো কোন কিছুর বিরুদ্ধে ছিল না ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার। সাবলীলতা না থাকলে কোন কিছুই টিকে থাকে না। তাহলেতো ঊর্দূ এখনো থেকে যেত।.............. কবিতার ভাবনা, গঠন এবং বক্তব্য অনেক ভাল লেগেছে .................. ☼
ধন্যবাদ জালালউদ্দিন ভাই। কবিতার ব্যখ্যা একটা বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে আমাকে। একটু উপরে তাকালে দেখতে পাবেন। আর যে অবস্থা হচ্ছে তাতে তো চিঠি লিখতে পারব না- পায়ে ব্যথার মত হয়ে যাচ্ছে বিষয়টা। যাই হোক। আপনি যা জানতে চাইছেন উপরে তা পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করা আছে ভাই।
দরাজ কন্ঠের মুজিব এদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। জিয়া উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য। আর পাকিস্তানীরা বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের বঞ্চিত করেই যাচ্ছিল। ছোট ছোট বিদ্রোহগুলোই ভাষার দাবীতে ফেটে পড়েছিল বায়ান্নতে। অন্য কথায় ভাষা সামগ্রিক আন্দোলনের একটা উপলক্ষ্য হয়ে এসেছিল।
স্বাধীন
আপনার আইডিয়াটা ভাল লেগেছে, আসলেইতো "হৃদয়ের অন্তঃটানে- ভাষা প্রয়োজনহীন"। আর বায়ান্ন'র রক্ত ঝরেছিলতো নিজের মতো করে কথা বলার অধিকার রাখতেই................
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।